ভিটামিন ডি, শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এর অভাব সব বয়সী মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝিকির কারণ সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলেছে বাংলাদেশের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে কোন না কোন মাত্রায় ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে।
ভিটামিন ডি একমাত্র ভিটামিন যা খাদ্যে খুব কম থাকে এর ৯০ শতাংশের উৎস সূর্যোলোক, বাস্তবতা হলো আমরা যারা কাজকর্ম বা অফিস আদালতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ০৩টা পর্যন্ত বাইরে থাকি অথবা দিনে অন্তত 30 মিনিট সূর্যের তাপ শরীরে লাগাই একমাত্র এই লোকগুলা ব্যতীত অধিকাংশ লোকের শরীরেই ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে।
মা ও নবজাতক ঝুঁকি
গর্ভবতী মায়ের ও নবজাতকের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য স্বাস্থ্য গবেষণা দের নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে, যদিও এই তথ্যের সম্পূর্ণ কার্যকারী ব্যাখ্যা এখনো পরিপূর্ণভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি তবে নবজাতকের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে অপরিণত বয়সে জন্ম, খিচুনি, জন্মের পর পরই শ্বাসকষ্টের মারাত্মক সংক্রমণ, খাদ্যনালীর প্রদাহ ইত্যাদি, এসব নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তির ঝুকি বারিয়ে দেয়। এসবের পিছনে যেসব প্রক্রিয়া কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে ভিটামিন ডি রিসেপ্টরের বহুখীনতা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কোসগুলোর অকার্যকারিতা, প্লাস্টার প্রদাহ ও অন্তরে ভালো মন্দ ব্যাকটেরিয়ার অসামঞ্জস্য অন্যতম।
নবজাতকের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি জনিত খিচুনির ৫০ শতাংশই হয় ভিটামিন ডি এর অভাবে, রক্তের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম বা ডিএলের কম হলে ঝুঁকির আশঙ্কা বেশি বিবেচনা করে চিকিৎসা করতে হবে, এর ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন দীর্ঘ মেয়াদী স্নায়ু নির্ভর বিকাশ জনিত (নিউরো ডেভেলপমেন্টাল) জলিলতা ছাড়াই খিচুনি বন্ধ করা সম্ভব হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাশ, গর্ভজালে ভিটামিন ডি ঠিক রাখতে পারলে নবজাতকের জন্মকালীন ওজন, দৈর্ঘ্য, মাথার পরিধি, অস্হির বৃদ্ধি তথা জম্নগত রিকেটস ইত্যাদি ঠিক রাখা সম্ভব হয়, এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন ডির মাত্রা রক্তে কমপক্ষে ২০ ন্যানোগ্রাম/ ডিএল নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা সঠিক রাখার সঙ্গে সন্তানের স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত অনেক বিষয়ের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এর মধ্যে হাইপোক্সিক ব্রেন ইনজুরি (মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত বা কমে যাওয়া) প্রতিরোধ ও ব্রেন ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করো অন্যতম, এছাড়া পরবর্তী সময়ে সার্বিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।
গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম থাকলে মা নিজেও কিছু জটিলতায় ভুগতে পারে যেমন একলামসিয়া, ডায়াবেটিকস ব্যাকটেরিয়ান বেজাইনোসিস ও সিজারিয়ান (সি) সেকশনের হার বেরে যাওয়া ইত্যাদি।