ঘর নির্মাণ করা
দেশি মুরগী গ্রামের বাড়িতে অনেকেই ছেরে পালন করে এতে অল্প খরচেই পালন করা যায় তবে এতে অসুখ ধরার ঝুকি অনেক বেশি থাকে বিষেস করে ঠান্ডা ও বৃষ্টির দিনে অধিকাংশ মুরগী মারা যায়, তাই যে যাতের মুরগী লালন পালন করেন না কেনো ঘর নির্মাণ করা জরুরি, ঘর নির্মাণ করার খেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে প্রথমে ঘরের ফ্লোরে যেন কোনো ভাবেই বেসি ঠান্ডা না থাকে এক্ষেত্রে আপনি মাচা তৈরি করে ঘর তৈরি করতে পারেন, এই পদ্ধতি সব থেকে বেশি ভালো হবে এতে মুরগির পায়খানা নিচে পরে যাবে পায়খানার ব্যাকটেরিয়া শরীরে লাগতে পারবে না যে কারোনে রোগ বালাই অনেক কম হবে, যদি এটা করতে না পারেন তবে ফ্লোরে ধান বা কাঠের তুষ বিছিয়ে দিবেন, ও প্রতিদিন এই তুষ গুলোকে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেবেন যাতে স্যাতস্যাতে ভাব ও ভেজা ভাব না হয়, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পর পর তুস পাল্টে দিবেন ও পুরাণ তুস গুলাকে ভালো করে রোদ্রে শুকিয়ে পুনরায় দিবেন, ঘরের চারপাশ খোলা মেলা রাখবেন যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের আলো বাতাস আসতে পারে তবে আলাদা করে ত্রেপাল বা পর্দা বানিয়ে রাখবেন যেগুলো বৃষ্টি ও ঠান্ডার দিনে চার সাইডে ঘিরে দিবেন।
উপযুক্ত জাত নির্বাচন
মুরগির অনেক গুলো জাত রয়েছে এক একটা জাতের মুরগির এক একধরনের বৈসিষ্ঠ রয়েছে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী জাত বেছে নিতে হবে।
ব্রয়লার এই জাতের মুরগি মাংসের জন্য পালন করা হয় এরা খুব দ্রুত মাংস উতপাদন করতে সক্ষম ৩ সপ্তাহ পর থেকেই এদের বাজার জাত করা যায়।
লেয়ার এই জাতের মুরগি ডিমের জন্য পালন করা হয়ে থাকে লেয়ার ২ কালারের হয় সোনালী ও সাদা এরা ৪ থেকে ৫ মাস পর হতে এক টানা ১৮ মাস ডিম দেয়, ডিম দেওয়া সেষ হলে এদের মাংসের জন্য বাজার জাত করা হয়, তবে এদের খাবার কস্ট একটু বেশি এরা তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি খাবার খায়।
সোনালী এই জাতের মুরগি ডিম ও মাংস দুটোই দিয়ে থাকে তবে লেয়ারের তুলনায় একটু কম ডিম উতপাদন করতে পারে এদের দৈহিক ওজন ও মোটামোটি ভালো, এরা খাবার ও লেয়ারের তুলনায় কম খায়।
ফাওমি এই জাতের মুরগি গুলো আকারে দেশি মুরগীর মতো শরীরে ওজন খুবি কম তবে এদের ডিম উতপাদন ক্ষমতা ভালো এদের ডিম দেশি মুরগির ডিমের মতো একটু বেশি দামে বিক্রি হয়, এরা খুবি অন্প পরিমানে খাবার খায়
টাইগার বর্তমান বাজারে মাংসের জন্য এই জাতের মুরগির খুব চাহিদা রয়েছে ৬০ দিন বয়সে এরা খওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায় বিষেস করে রোস্টের যন্য এদের প্রচুর পরিমানে চাহিদা, এছাড়াও অনেকে বয়লার খেতে চায়না ও লেয়ার খুব সক্ত, তাই এদেরকে বেসি পছন্দ করে। এছারাও অনোক জাতের মুরগি রয়েছে যেগুলার খামার খুবি কম রয়েছে কারণ তাদের বাজার চাহিদা তেমন একটা নেই।
মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং
বাচ্চা ফুটে বের হবার পর থেকে গরমের দিনে ২১ দিন ও শীতের দিনে ১মাস বিশেষ প্রজাবেক্ষনে লাইটিং এর ব্যাবস্থা করে ৩৭ ছেলছিয়েস তাপমাত্রায় রাখা অত্যন্ত জরুরী, এর নাম ব্রুডিং।
খাদ্য ও পানীয় ব্যাবস্হাপনা
ব্রয়লার যেহেতু দ্রুত বর্ধনশীল জাত তাই এদের ক্ষেত্রে ১ থেকে ১৫ দিনের বাচ্চাকে ব্রয়লার স্টাটার খাবার দিতে হবে নিয়মিত খাবার ও পানির পট পরিষ্কার করতে হবে, নিয়মিত ঔষধ ও টিকা দিতে হবে।
অন্য সব জাতের ক্ষেত্রে ১ দিন হতে ৩০ দিনের বাচ্চাকে ব্রয়লার স্টাটার খাবার দিতে হবে, ৩০ দিন পর হতে মাংসের জন্য পালন করলে ব্রয়লার গ্রোয়ার খাবার দিতে হবে ও ডিমের জন্য পালন করলে সোনালী কক গ্রোয়ায় খাবার দিতে হবে, ডিমের জন্য পালন করা মুরগীকে ডিমে আসার পর হতে লেয়ার-১ খাবার দিতে হবে, দিনে ২বার পানির পট পরিষ্কার করে পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে।
Tags:
animal
ঔষধ সম্পর্কে কিছু বলেন
ReplyDelete