জিস-ভেট হাস মুরগির জিংক



 শুধুমাত্র পশু চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য

উপাদান

জিস-ভেট বোলাস

প্রতি বোলাস এ রয়েছে জিঙ্ক (জিঙ্ক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি হিসেবে) ২০০ মি.গ্রা.।

জিস-ভেট সিরাপ

প্রতি ৫ মি.লি. এ রয়েছে জিঙ্ক (জিঙ্ক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি হিসেবে) ১০ মি.গ্রা.।

ফার্মাকোলজি

উৎপাদনশীলতা বজায় রাখা এবং অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করা খনিজ উপাদানের কাজ। খনিজ উপাদান হিসেবে জিঙ্ক অনেকগুলো এনজাইমের, যেমন- কার্বনিক অ্যানহাইড্রেজ, অ্যালকোহল ডিহাইড্রোজিনেজ, অ্যালকালাইন ফসফেটেজ, ডিএনএ/আরএনএ পলিমারেজ ইত্যাদির গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে যা শর্করা, আমিষ, চর্বি এবং নিউক্লিক এসিড বিপাকের সাথে সম্পর্কিত। থাইমোসিন নামক হরমোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জিঙ্ক যা সেল মেডিয়েটেড ইমিউনিটি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রজনন ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে জিঙ্ক। স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণ জিঙ্কের উপর নির্ভরশীল। জিঙ্ক কোষ বিভাজনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। জিঙ্ক জিনের প্রকাশ, কোষ বিভাজন, দৈহিক বৃদ্ধি, হরমোন উৎপাদন, বিপাক, ক্ষুধা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ, ক্ষুর এবং ওলানের গঠন ও সুস্বাস্থ্য রক্ষা, ক্ষত নিরাময় এবং এপিথেলিয়াল কোষের সুরক্ষার জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

নির্দেশনা

গবাদি পশু

ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া, দুর্বল দৈহিক বৃদ্ধি, লোম পড়া, চর্মপ্রদাহ, অন্ডকোষের যথাযথভাবে বৃদ্ধি না হওয়া, পা ফোলা, ক্ষত নিরাময় না হওয়া, পশম খাওয়া, প্যারাক্যারাটোসিস, হাইপারক্যারাটোসিস, হাড় ও অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, ক্ষুরের অস্বাভাবিক গঠন, প্রজনন ব্যাহত হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, উৎপাদন হ্রাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে জিস-ভেট নির্দেশিত।

পোল্ট্রি

দুর্বল দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া ও ডিমের অনুর্বরতা, ডায়রিয়া, পালক না গজানো বা পড়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধি ফোলা বা শক্ত হওয়া, ফুট প্যাড শুষ্ক, মোটা ও ফাটা পা, হাইপারক্যারাটোসিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে জিস-ভেট নির্দেশিত।

পোষা প্রাণি

ত্বকের বিভিন্ন রোগ যেমন ডার্মাটোসিস, উস্কোখুস্কো লোম, শক্ত ও পুরু ত্বক, চিবুক ও পায়ের ত্বক আঁইশাকার হয়ে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে জিস-ভেট নির্দেশিত।

প্রয়োগমাত্রা ও প্রয়োগবিধি

ঔষধ প্রয়োগের পথ: শুধুমাত্র মুখে খাওয়ানোর জন্য।

গরু ও মহিষ

প্রতিরোধ: ১টি বোলাস অথবা ১০০ মি.লি. সিরাপ প্রতি ৫ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়াতে হবে। চিকিৎসা: ১টি বোলাস অথবা ৫০-১০০ মি.লি. সিরাপ পরপর ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

বাছুর, ভেড়া ও ছাগল

প্রতিরোধ: ১টি বোলাস অথবা ১০০ মি.লি. সিরাপ প্রতি ৫ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়াতে হবে। চিকিৎসা: প্রতিদিন এক-চতুর্থাংশ বা অর্ধেক বোলাস অথবা ২৫-৩০ মি.লি. সিরাপ ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

পোল্ট্রি

প্রতিরোধ: ১টি বোলাস অথবা ১০০ মি.লি. সিরাপ প্রতি ৫০ লিটার খাবার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

চিকিৎসা: ১টি বোলাস অথবা ৭৫ মি.লি. সিরাপ প্রতি ২৫ লিটার খাবার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

পোষা প্রাণি

বিড়াল/কুকুর ছানা: ১-২ মি.লি. সিরাপ প্রতিদিন খাওয়াতে হবে।

কুকুর: ৭-৮ মি.লি. সিরাপ প্রতিদিন খাওয়াতে হবে অথবা (১৫ মি.গ্রা./দিন)।

বিড়াল: ২.৫-৩ মি.লি. সিরাপ প্রতিদিন খাওয়াতে হবে অথবা (৪.৬ মি.গ্রা./দিন)।

অথবা রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।

প্রতিনির্দেশনা জানা যায়নি।

সাবধানতা ও সতর্কতা

জিঙ্ক (জিস-ভেট) এর সাথে একত্রে ক্যালসিয়াম, কপার ও লৌহ ব্যবহার উচিত নয়। খাদ্যে অতি মাত্রায় ব্যবহারে খাবার বিস্বাদ হতে পারে।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া: জানা যায়নি।বি

রল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া: জানা যায়নি।

গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী পশুতে ব্যবহার

নির্ধারিত মাত্রায় নিরাপদ। তবে ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে খাওয়ানো উচিত।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

ঔষধের সাথে: জানা যায়নি।

খাবার ও অন্যান্যের সাথে: জানা যায়নি।

মাত্রাধিক্য

নির্ধারিত মাত্রায় নিরাপদ। তবে ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে খাওয়ানো উচিত।

প্রত্যাহার কাল

মাংস, দুধ ও ডিম: ০ (শূন্য) দিন।

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, ৩০° সে তাপমাত্রার নিচে এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন।

সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

মোড়কজাতকরণ

বোলাস: প্রতিটি বাক্সে ১৫০৪ টি বোলাস ব্রিষ্টার স্ট্রিপে সরবরাহ করা হয়।

সিরাপ: ১০০ মি.লি., ৫০০ মি.লি., ১ লিটার ও ৫ লিটার বোতল।

Post a Comment

Previous Post Next Post