জ্বীনের সমস্যা বা জ্বীনের আসর দূর করার জন্য ইসলামি শরীয়তে কিছু বৈধ পদ্ধতিতে জিনের সমস্যা দূর করার তাবিজ বা রুকিয়া (রুহানি চিকিৎসা) রয়েছে। এগুলো কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত। এগুলা অনুসরণ করলে জিনের আসর থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ নিচে বিস্তারিতভাবে কিছু কার্যকর জ্বীনের সমস্যা সমাধান ইসলামিক তদবির (রুকিয়া) দেওয়া হলো
১. আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা ২:২৫৫)
আরবি: اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ... (পুরো আয়াত)
বাংলা উচ্চারণ: Allahu la ilaha illa huwa Al-Hayyul-Qayyum... (পুরো আয়াত)
অর্থ: আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সকল সৃষ্টির ধারক-সংহারক...
এই আয়াতটি নিয়মিত পড়লে এবং ঘুমের আগে পড়ে শয়ন করলে জিন, শয়তান, বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
---
২. সূরা ফালাক ও সূরা নাস
সূরা ফালাক (১১৩) এবং সূরা নাস (১১৪) পুরোপুরি পড়তে হবে।
সকাল-সন্ধ্যা, শয়নের আগে, এবং যখন কোনো ভয়ের অনুভূতি হবে তখন বারবার পড়া।
---
৩. বুখারী থেকে জিনের আসর দূর করার জন্য রাসূল ﷺ এর শেখানো দোয়া
আরবি: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
বাংলা উচ্চারণ: আউযু বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক
অর্থ: আমি আল্লাহর পূর্ণ কথাগুলোর মাধ্যমে আশ্রয় চাই, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।
এই দোয়া সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়লে সব ধরনের ক্ষতিকর জিন, শয়তান থেকে হেফাজত করে।
---
৪. সূরা বাকারার তিলাওয়াত
রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ঘরে সূরা বাকারা পড়া হয়, সেখানে শয়তান (ও জিন) প্রবেশ করে না। (সহিহ মুসলিম)
বাড়িতে নিয়মিত সূরা বাকারা পড়া বা বাজানো জিনের প্রভাব দূর করতে খুবই কার্যকর।
---
৫. তাবিজ প্রসঙ্গে সতর্কতা
ইসলামী শরিয়তে হাদিসে বর্ণিত দোয়া, কুরআনের আয়াত অথবা আল্লাহর নামসমূহ দিয়ে লেখা তাবিজ বৈধ। তবে, এতে শিরক বা অন্য কোনো মিশ্র জিনিস থাকা হারাম।
যদি কেউ লিখতে চায়, এই ধরনের তাবিজে সাধারণত আয়াতুল কুরসি, সূরা ফাতিহা, সূরা ফালাক, সূরা নাস, "বিসমিল্লাহ" ইত্যাদি থাকে।
তাবিজ পরে নিয়মিত দোয়া ও আমল চালিয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুন:
এই পোস্টটি খুঁজে পেতে এগুলো অনুসরণ করুন:
জ্বীনের সমস্যা দূর করার তদবির
জ্বীনের আছর থেকে মুক্তি
জ্বীনের চিকিৎসা ইসলামিক পদ্ধতি
রুকইয়া আয়াত জ্বীন তাড়ানোর জন্য
জ্বীন আক্রান্ত লক্ষণসমূহ ও সমাধান
জ্বীনের চিকিৎসা
জ্বীনের লক্ষণ
রুকইয়া আয়াত
জ্বীনের আছর সমাধান
Tags:
islamilife