কম্পিউটারের স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়
কম্পিউটার ধীরে কাজ করা শুরু করলে সেটা ব্যবহারকারীর জন্য খুবই বিরক্তিকর হয়। এর গতি বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ফাইল এবং প্রোগ্রাম মুছে ফেলা। অনেক সময় কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে, যেগুলো প্রায়ই ব্যবহার করা হয় না। সেগুলো সরিয়ে দিলে কম্পিউটারের স্টোরেজ খালি হয় এবং সিস্টেম হালকা হয়। এছাড়াও স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু হতে চায়, ফলে সিস্টেম স্লো হয়। Task Manager-এ গিয়ে Startup অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো Disable করে রাখা যায়। ডিস্ক ক্লিনআপ এবং ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট ব্যবহার করা খুব কার্যকর একটি উপায়। Disk Cleanup-এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় টেম্প ফাইল, রিসাইকেল বিনের ফাইল ইত্যাদি মুছে ফেলা যায়। Disk Defragmenter-এর মাধ্যমে হার্ডডিস্কের ফাইলগুলোকে সঠিকভাবে সাজিয়ে দ্রুত অ্যাক্সেসের ব্যবস্থা করা যায়। কম্পিউটারের র্যাম বাড়ানোও খুব ভালো উপায়। বেশি র্যাম মানে একসাথে অনেক প্রোগ্রাম চালানো যাবে এবং সিস্টেম হ্যাং হবে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে SSD ব্যবহার করা। হার্ডডিস্কের তুলনায় SSD অনেক দ্রুত কাজ করে, ফলে সিস্টেমের বুট টাইম ও সফটওয়্যার লোডিং টাইম অনেক কমে আসে। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে নিয়মিত স্ক্যান করা উচিত কারণ ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার সিস্টেমকে স্লো করে দেয়। সবশেষে, অপারেটিং সিস্টেম এবং ড্রাইভারগুলো নিয়মিত আপডেট করে রাখা উচিত, যাতে সিস্টেম সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে পারে।
ল্যাপটপের স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়
ল্যাপটপের গতি কমে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে যারা অনেক সফটওয়্যার একসাথে ব্যবহার করেন বা অনবরত ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন। ল্যাপটপের গতি বাড়ানোর জন্য প্রথমে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো আনইনস্টল করে দিতে হবে। অনেক সময় আমরা এমন প্রোগ্রাম রাখি, যেগুলো একবারও খোলা হয় না। সেগুলো সরিয়ে দিলে র্যাম এবং স্টোরেজ দুটোই হালকা হয়। ল্যাপটপে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। Task Manager থেকে সহজেই দেখা যায় কোন অ্যাপ বেশি মেমোরি এবং CPU ব্যবহার করছে। সেই অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিলে ব্যাটারি ব্যাকআপও বেড়ে যায় এবং গতি অনেকটা বাড়ে। ডিস্ক ক্লিনআপ এবং SSD ব্যবহার করা ল্যাপটপের জন্যও খুবই কার্যকর। SSD থাকলে ল্যাপটপের বুট টাইম অনেক কমে যায়, ফলে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়। ল্যাপটপে অটো-আপডেট অপশন বন্ধ রাখতে পারেন, কারণ অনেক সময় এই আপডেট ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড হয়ে সিস্টেম স্লো করে দেয়। ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। বেশি গরম হলে পারফরম্যান্স কমে যায়, তাই প্রয়োজনে কুলিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচতে ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত এবং নিয়মিত স্ক্যান করা উচিত। ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম ও ড্রাইভারগুলো সর্বদা আপডেট করে রাখা উচিত। এতে নিরাপত্তা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি সিস্টেমের গতি ও স্থিতিশীলতা বাড়ে। সবশেষে, প্রয়োজনে ল্যাপটপের র্যাম বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে, যা একই সাথে একাধিক কাজ করা সহজ করে তোলে।
স্মার্টফোনের স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়
স্মার্টফোনের গতি কমে গেলে আমাদের দৈনন্দিন কাজের গতি ব্যাহত হয়। ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করা উচিত। অনেক সময় আমরা অনেক অ্যাপ ইন্সটল করি, কিন্তু ব্যবহার করি না। এই অ্যাপগুলো স্টোরেজ এবং র্যাম দখল করে রাখে। অ্যাপের ক্যাশ ফাইল নিয়মিত ক্লিয়ার করা উচিত। প্রতিটি অ্যাপ ব্যবহার করার সময় ক্যাশ জমা হয়, যা ফোন স্লো করে দিতে পারে। সেটিংস-এ গিয়ে স্টোরেজ অপশনে ক্যাশ ক্লিয়ার করার অপশন থাকে। হোম স্ক্রিনে বেশি উইজেট না রাখাই ভালো। বেশি উইজেট ফোনের প্রসেসর এবং ব্যাটারি দুটোই দ্রুত শেষ করে দেয়। অ্যানিমেশন ইফেক্ট কমিয়ে দিলে ফোন আরও দ্রুত কাজ করে। Developer options থেকে Window animation scale, Transition animation scale ইত্যাদি কমিয়ে দিতে পারেন। ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপগুলো সর্বদা আপডেট করা উচিত। নতুন ভার্সনে অনেক সময় পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্ট এবং বাগ ফিক্স থাকে। অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখতে হবে। Recent apps থেকে সব অ্যাপ ক্লোজ করা এবং Settings ➜ Apps ➜ Running apps থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করে দিতে হবে। ফোনের মেমোরি খুব বেশি ভর্তি হয়ে গেলে সেটি স্লো হয়, তাই মেমোরি ফাঁকা রাখা দরকার। সর্বশেষে, যদি সব কিছু করেও কাজ না হয়, তাহলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করে নেওয়া যেতে পারে। তবে এই কাজ করার আগে সব ডেটা ব্যাকআপ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। ফ্যাক্টরি রিসেটের পর ফোন একদম নতুনের মতো হয়ে যায় এবং গতি অনেক বৃদ্ধি পায়।
Tags:
onlinehelp